০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

মোঃ হা‌বিবুর রহমান এর লেখা ''সহধ‌র্মিণীর হুঁশিয়ারী বার্তা'' (১ম পর্ব)



সহধ‌র্মিণীর হুঁশিয়ারী বার্তা     (  ম পর্ব  )


              এখনঅ‌ব্দি ‌ঠিক কোন বিষ‌য়ে দু‌টো চরণ লিখ‌বো তা ম‌স্তি‌কের খ‌ু‌লি‌তে ঢু‌কে‌নি। ইদা‌নিং আমার বিরামহীন লেখা দে‌খে স্বয়ং আমার সহধ‌র্মিণী সতর্কতা সং‌কেত দি‌য়ে প্রায় প্র‌তি‌দিনই ব‌লেন "যখন সব লেখা ‌শেষ হ‌য়ে যা‌বে তখন কি লিখ‌বে"? অর্থাৎ, তি‌নি বোধ হয় এটাই বু‌ঝা‌তে চান যে, যখন আমার ঘ‌টের কপ্পুর বা স্ট‌কের সব সম্পদ শেষ হ‌য়ে যাবে তখন আ‌মি কি লিখ‌বো এই আর‌কি! 


              তাৎক্ষ‌ণিক তো একটা উত্তর দি‌তেই হয় তাই তখনই নি‌জের উপ‌স্হিত বু‌দ্ধি‌কে কা‌জে লা‌গি‌য়ে কিছু একটা তা‌ঁকে মনগড়া ব‌লে ফেললাম, তুমি তো তোমার প্র‌শ্নেই অকপ‌টে সমাধানটা নি‌জেই দি‌য়ে দি‌লে এবং আমার হ‌য়ে উত্তরটা ব‌লেই তো দি‌লে যে, যখন আমার সব লেখা শেষ হ‌য়ে যাবে তখন আ‌মি কি লিখ‌বো। সহধ‌র্মিণীকে একটু হালকা ঠাট্টা ক‌রে বললাম, একজন ভদ্র ম‌হিলা নি‌জেই প্রশ্ন ক‌রে আবার নি‌জেই সা‌থে সা‌থে উত্তর‌টিও ব‌লে দেয়, বাহ তু‌মি মজার মান‌ুষ‌তো দেখ‌ছি! 


              সহধ‌র্মিণী বল‌লেন "তার মা‌নে কি? ত‌ু‌মি এই কথার মাধ‌্যমে আবার কি বুঝা‌তে চাচ্ছ? আ‌মি বললাম সব যখন লেখা হ‌য়েই যা‌বে তখন‌তো আর কিছুই যে‌হেতু বাকী থাক‌বেনা সুতরাং, তখন‌তো বাস্ত‌বে আর সত্যি স‌ত্যিই কিছুই লেখারও থাক‌বেনা। তু‌মি‌তো বু‌ঝি হক কথাটাই অকপ‌টে ব‌লে ফে‌লে‌ছো। সহধ‌র্মিণী এবার একটু রে‌গেসেগেই বল‌লেন "যে মানুষ জে‌গে‌ জে‌গে আস‌লে ঘুমা‌নোর চেষ্টা ক‌রে আর যে বু‌ঝেও না ব‌ুঝার ভান ক‌রে তা‌কে আস‌লে কেউ কখনই বুঝা‌তে পার‌বেনা"। 


              অবস্হা বেগ‌তিক দে‌খে আ‌মি তা‌ঁকে বললাম, দে‌খো আমারও এক‌দিন তোমার মত এরকম ধারণা ছিল যে, বিশ্বক‌বি, ক‌বি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কিংবা জাতীয়/বি‌দ্রোহী ক‌বি কাজী নজরুল ইসলাম এই জগৎ বিখ্যাত ক‌বিদ্বয় তো বহু পূ‌র্বেই সব কিছু লিখেই ফে‌লে‌ছেন তাহ‌লে আর বু‌ঝি কিছুই লেখার অব‌শিষ্ট নেই, তারপ‌রেও ‌তো ‌দে‌খি আবার নিত্য-নতুন আধু‌নিক ধারায় ‌বি‌ভিন্ন বিষ‌য়ের উপর ভা‌লো ভা‌লো লেখা, সি‌নেমা, গান ও নাটক প্র‌তি‌নিয়ত র‌চিত হ‌চ্ছে সেগু‌লো কি তোমার চে‌া‌খে পড়‌ছে না? 


              দুঃখিত। একটা গোপন কথা এই ফাকে না ব'ল‌লে ‌পি‌ছে আবার ভু‌লে যাবার সমূহ সম্ভাবনা আ‌ছে। স‌ত্যি বল‌তে কি, ক্যা‌ডেট ক‌লে‌জে অধ্যায়নকা‌লে আমা‌র শ্র‌দ্ধেয় বাংলার প্রফেসর জনাব র‌ফিক নওশাদ যি‌নি একজন অত্যন্ত সুনামধন্য ক‌বি ও  খ্যা‌তিমান লেখকও ছি‌লেন, তি‌নি এক‌দিন ক্লাসে বিশ্বক‌বি প্রসং‌গে বল‌তে যে‌য়ে একবার 'রবীন্দ্র বল‌য়ের' কথা ব‌লে এমন একটা ভয় ধ‌রি‌য়েছি‌লেন আর যায় কোথায়? তারপর থে‌কেই সে‌ই যে ডান হা‌তে ‌বে‌ড়ি পরালাম আর খোলা‌খে‌া‌লির যেন নামগন্ধ নেই।






ধারাবাহিক ম  কিস্তি


1 টি মন্তব্য:

thank you so much