সিন্দুক
মনের অন্দরমহলে রাখা সুরক্ষিত
লোহার সিন্দুকটা, মাঝেমাঝে কেঁপে কেঁপে উঠছে,
সিন্দুকের তালাটাও
কাঁপছে ঠক্ ঠকা ঠক্ শব্দ করে।
নগন্য একটা সুখের অনুভূতি,
সারারাত জাগিয়ে রেখেছে। নগন্য
সুখটাকে বারবার উল্টে-পাল্টে,
ভেঙে-চুরে, দুমড়ে-মুচড়ে, দেখতে
দেখতে কখন যে আকাশ থেকে
চাঁদ বিদায় নিয়েছে সেটাও অনুভব
করতে পারিনি। পূব আকাশে আলো
ফোটার আগেই নগন্য সুখটা আমার
সর্বস্ব গ্রাস করে নিয়েছে। প্রতিটি
শিরা উপশিরা দখল করে এখন
প্রবেশ করেছে তালাবদ্ধ সিন্দুকের
ভেতরে।
যে সিন্দুকে, অনেকদিন সুখের
প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। নগন্য সুখটা
কোনো এক অলৌকিক ক্ষমতা বলে
ওখানে প্রবেশ করেছে। কী ভীষণ
সাহস! যে আমার অনুমতি ছাড়াই
আমার সিন্দুকে চিরস্থায়ী বসতি
গড়েছে।
এখন সিন্দুকের ভেতর থেকে
ঠক্ ঠকা ঠক্ শব্দে আমায় আহ্বান
জানাচ্ছে। শব্দটা আমার সবকিছু
এলোমেলো করে দিচ্ছে। আমার
আমিটা নিজের চতুর্দিকে বিস্তৃত
ডালপালা সমস্তটা গুটিয়ে ধীরে
ধীরে প্রবেশ করছে সিন্দুকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much