বিশ্বাস...
রবীন পৌনে ছটার বনগাঁ লোকাল ধরে তারপর সারাদিন ব্যাগ কাঁধে এ ট্রেন ও ট্রেন।বিক্রি মন্দ হয় না। তিনজনের সংসার মোটামুটি চলে যায়।ক্লান্ত পায়ে যখন সে ট্রেন থেকে নামে তখন রাত প্রায় বারোটা।সারাদিন চেচিঁয়ে তখন আর কথা বলার শক্তি থাকে না।
গত ছমাস ধরেই প্ল্যাটফর্মের শেডের নীচে মেয়েটাকে দেখছে সে।চুপচাপ বসে থাকে, এলোমেলো চুল,বয়স তিরিশ বত্রিশ হবে,শাড়িটার রঙ সম্ভবত নীল ছিল।
অত ভোরে মেয়েটিকে ওভাবে বসে থাকতে দেখে প্রথমে অবাক হয়েছিল পরে বুঝেছে মেয়েটি স্বাভাবিক নয়।চায়ের দোকানের মলয় বলছিল পাগলীটা কারও জন্য অপেক্ষা করে, কেউ নাকি বলেছিল ফিরবে।
কয়েকদিন হল রাতেও মেয়েটিকে দেখছে রবীন। রাত বাড়লে প্ল্যাটফর্ম ফাঁকা হতে থাকে। মদ জুয়ার ঠেক বসে এদিক ওদিক।মেয়েটির জন্য খুব চিন্তা হচ্ছে কদিন ধরেই।পাথরের মত একটা মেয়ে, শূণ্য দৃষ্টি.... কেন যে!
আজও ট্রেন থেকে নামতেই মেয়েটাকে দেখল। তেমনি বসে আছে।শীতের রাত। হাতে গোনা কটা লোক প্ল্যাটফর্মে।
রবীন মেয়েটার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। আস্তে করে বলল..... তুমি বাড়ি যাও।অনেক রাত হয়েছে,বাড়ি চলে যাও।
...... তাহলে যে ও মরে যাবে!
অবাক হয়ে রবীন বলল.... কে?
মেয়েটি চোখ তুলে তাকালো তারপর দূরাগত মন্ত্রধ্বনির মত মৃদু অথচ স্পষ্ট স্বরে বলল.....বিশ্বাস।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much