বন্ধু
স্মৃতির ক্যানভাস থেকে মুছে যায়না প্রিয় ইমেজ /
সময়ে আপণ করে নিয়েছি পথ ঘাট, নগর নাগর, অমাবস্যা পূর্ণিমা /
বুকের ভেতর প্রচন্ড বিস্ফোরণে ভাষাহীন এক বোধ কাজ করে /
এর ভেতরেই যেন যুগযুগ জেগে আছি/
এখনও সুর করে পড়ছি
অ তে - অয় অজগর আসছে তেড়ে
আ তে - আমটি আমি খাবো পেড়ে/
বেঞ্চের ডান পাশে রিনা বাম পাশে খসরু, সামনে মনিকা পেছনে সাঈদ /
শৈশব পেড়িয়ে কৈশোরের অদম্য কৌতূহলে হেঁটেছিলাম ছায়ার পেছনে তোদের সঙ্গী হয়ে /
চলে যেতে যেতে অন্তহীন সেই পায়ের ছাপ, প্লাটিনাম স্কুলের বারান্দা, দপ্তরী রহমান চাচা,
রবার্ট স্যারের কানমলা, ইয়াসিন স্যারের লাল চোখ, মাওলানা স্যারের জোড়া বেত/
মনে কি পড়ে তোদের আমারই মতো?
ফড়িংয়ের পিছু নেয়া সেই সময়ের হাত ধরে এখনও হেঁটে যাই /
পৃথিবীর গল্পে সুগন্ধি ফুলের মতো তোরা বুকের অলিন্দে সৌরভ ছড়িয়ে যাচ্ছিস আজও /
বড় হতে হতে বুড়ো হয়েছি ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ এর কল্যাণে বন্ধুতালিকায় হাজারো বন্ধু/
অথচ স্মৃতির আকাশ থেকে নেমে এসে বৃষ্টির ফোটা হয়ে ভিজিয়ে দিস স্কুলের সেই তোরা/
খুব জানতে ইচ্ছে করে , এই মধ্যবয়সী আটপৌরে সন্ধ্যায় তোদেরও কি মনে পড়ে সেইসব স্মৃতি!
বহুদূর অতীত.... চান কাকুর চায়ের দোকান, প্লাটিনামের বিস্তৃত মাঠের দূর্বাদল, শিশিরের টুপটাপ, স্কুলের দেয়ালে কাঠ কয়লায় লেখা নাম, ব্ল্যাকবোর্ড - সাদা চক,
বেঞ্চের পেছন থেকে ফিসফিস করে পড়া বলে দেয়া/
তোদের কি মনে পড়ে..
দুই এক্কে দুই স্যারের মুখে সুঁই
তিন দু গুণে ছয় স্যারের বুদ্ধি ক্ষয়/
ছয়তলার বারান্দা থেকে নীচের রাস্তায় তাকিয়ে ইউনিফর্ম পরা ছেলেমেয়েদের যেতে দেখি
আমার চোখের কোন চিকচিক করে ওঠে /
একা একা বিরবির করি তোদের কাছে ফিরে যাই,
ফিরে যাই মদন মোহনের কাছে....
পাখিসব করে রব রাতি পোহাইলো,
কাননে কুসুমকলি সকলি ফুটিল,
রাখাল গরুর পাল লয়ে যায় মাঠে
শিশুগণ দেয় মন নিজ নিজ পাঠে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much