০৩ অক্টোবর ২০২১

লেখক শান্তা কামালী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল" ৩

চোখ রাখুন স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকার পাতায় লেখক শান্তা কামালী'র  নতুন ধারাবাহিক  উপন্যাস "বনফুল" 




                                                                         "বনফুল"
                                                                                 ৩ য় পর্ব      


                         জুঁই মোটামুটি নিশ্চিন্ত  হলো, এখন অন্তত ফোন করে যোগাযোগ করা যাবে। 
জুঁই ফেরার পথে পলাশকে হেটে যেতে দেখে ড্রাইভাকে গাড়ি থামাতে বললো, পলাশের সামনে এসে গাড়ি থামতেই জুঁই গাড়ি থেকে নেমে এসে বললো প্লিজ আপনি গাড়িতে উঠুন, জুঁইয়ের মুখের দিকে তাকাতেই ব্যাপারটা ঠিক অন্য রকম..... 
পলাশ আর না করতে পারেনি। 
পলাশ গাড়িতে উঠলো ড্রাইভারের পাশের সিটে, জুঁই জানতে চাইলো আপনি কোন দিকে যাবেন। 
পলাশ বললো আমি মতিঝিল এজিপি কলোনি.... 
ড্রাইভার পলাশকে মতিঝিল এজিপি কলোনিতে নামিয়ে নিয়ে ড্রাইভার লালমাটিয়ায় চলে গেল জুঁইকে নিয়ে। 
রাতে পড়ার টেবিলে বসে জুঁই পলাশের কথাই ভাবছে, কেন বারবার পলাশের কথা মনে পরছে..... 
তবে কি পলাশকে ভালো লেগে গেলো! যতবার পড়াতে মন কনসেনট্রেট করতে চাইছে তত বেশি করে পলাশের মুখটা হৃদয় পটে বেসে উঠছে....
তবে কি পলাশকে ভালোবেসে ফেলেছি!  
এই টানাপোড়নে বেশ কয়েক মাস  কেটে গেল, জুঁই অন্য কিছু ভাবতে পারছে না। সেদিন পলাশের সাথে দেখা হলো জুঁইয়ের, জুঁই জানতে চাইলো কেমন আছেন আপনি, পলাশ জবাবে বললো হে ভালো আছি, তুমি কেমন আছো?  জুঁইও বললো ভালো আছি। 
জুঁই বললো পড়াশোনা বিষয়টা কিছুই বুঝতে পারছিনা, আপনি কোন ভাবে হেল্প করতে পারেন। 
পলাশ বললো কি হেল্প তোমার বলো? 
আমি বুঝতেই পারছি না কোথা থেকে শুরু করবো, পলাশ বললো ঠিক আছে আমার নোটস্ গুলো তো পরেই আছে, ঐ পড়লেই আশাকরি ভালো করবে। জুঁই খুশিতে আত্মহারা হয়ে বললো আপনাকে কি বলে যে ধন্যবাদ দেবো... 
পলাশ বললো তার দরকার নেই তুমি ভালো রিজাল্ট করলেই হলো। 
পরদিন পলাশ একটা বেগে করে ওর প্রথম বছরের সব নোটস্ গুলো নিয়ে গেইটে অপেক্ষা করছিলো। 
কিছুক্ষণ পরই জুঁইয়ের গাড়ি ভার্সিটির গেইটে থামলো, পলাশ এগিয়ে গিয়ে জুঁইয়ের হাতে বেগটা ধরিয়ে দিয়ে খুব দ্রুত ভার্সিটি ভিতরে ডুকে গেলো, কারণ পলাশের ক্লাস শুরু হতে আর মাত্র পাঁচ মিনিট বাকি আছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

thank you so much