চলছে নতুন ধারাবাহিক উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়" আজ তৃতীয় দিন।
লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের পড়তে সহযোগিতা করুন লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম লেখার।
আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে লিখতে সহযোগিতা করবে।
উদাসী মেঘের ডানায়
( পর্ব চার)
ডোরবেলটা বেজে উঠলো দরজা খুলেদিয়েই বললো
ঃবড়দা তুমি হঠাৎ!
আগে তো ডুকলে দে মিলি নাকি দরজায় দাঁড়িয়ে
কথা বলবো।
ঃআসোনাতো অনেকদিন তাই অবাক হলাম এসো।
ড্রইংরুমে বসতে দিয়ে মিলি একগ্লাস পানি এনে
সামনে রেখে বললোঃ কেমন আছো, বাসার সবাই
কেমন আছে?
আলহামদুলিল্লাহ সবাই ভালো আছে, তৃষ্ণাকে দেখছিনা আজ ওরতো ছুটি।
ঃনা, বড়দা ওতো অফিসের কাজে চিটাগাং গিয়েছে
কাজ শেষে ছুটি নিয়ে কক্সবাজার গিয়েছে কয়দিন থাকবে।
ঃএভাবে মেয়েটাকে তুই আদর দিয়ে নষ্ট করছিস
বিয়ে দিতে হবেনা, প্রায় চল্লিশে পড়েছে, পরে আর
পাত্র পাওয়া যাবেনা।
ঃতৃষ্ণা বিয়ে আর করবেনা বড়দা।
বললেই হলো যোয়ান মেয়ে চাকরি করে বেড়াবে
তাছাড়া আমাদের ওতো মান সন্মান আছে।
আমি ওর জন্য পাত্র দেখেছি,এজটু বয়স্ক আগের
বউ আছে প্যারালাইজড, তাই সংসার সামলানোর
জন্য ভালো পাত্রী খুঁজছে, আমারই এক বন্ধুর আত্বীয়।
ঃ সরি বড়দা আমার মেয়েকে লেখাপড়া শিখিয়ে
মানুুষ করেছি, আর একজনের বউকে সেবা করার
জন্য নয়।
ঃখুব অহংকার তোর মেয়ে নিয়ে তোর।
তা একটু আছে বৈকি বড়দা, তা তোমার মেয়েওতো
বিধবা ওকে দাওনা বিয়ে আমার মেয়ে নিয়ে মাথা
ঘামাচ্ছ কেন?
ঃকি এতো বড় কথা আমার মেয়েকে দিবো তোর মেয়ের ছোট সে।
ঃতিন বছরের ছোট, তেমন ছোট কোথায়?
তুই আমাকে অপমান করছিস, তোর মেয়ে
অফিসের কাজে বাহিরে যায়, না কি করে জানিস।
ঃঠিক মতন কথা বলো বড়দা, নয়তো আসতে পারো।
যাবো তো বটেই, তবে দেখি মেয়ে কোথায় যায়
এতদিন চুপ করে ছিলাম, এখন আর চুপ থাকবোনা।
ঃযাও যা ইচ্ছে করো লাভ হবেনা আমার মেয়ে
কেমন তা সবাই জানে।
রাগে গজগজ করতে করতে বেরিয়ে গেলো।
তৃষ্ণার মা চুপ করে সোফায় কিছুক্ষন বসে থেকে
তৃষ্ণা কে কল করলো
তুমি কেথায় তৃষ্ণা কবে আসবে।
ঃমা চিন্তা করোনা আজ আমি নীলগিরি যাবো তিনদিনের বেশি থাকবোনা চলে আসবো।
কার সাথে যাচ্ছো তুমি আর সামিয়া এতোদুর?
মামনি প্লিজ এসে সব বলবো, চিন্তা করোনা আমি
ভালো আছি তোমার দোয়ায়।
ভালো লাগেনা তোকে ছাড়া বাসাটা খালি খালি লাগে।
এইতো মা চলে আসবো, রাখি।
অপুঃ চলো, নয়তো দেরি হয়ে যাবে পৌছাতে।
ঃ চলো।
গাড়ি,ছুটছে দুজনই চুপ,মাঝে মাঝে গুনগুন করছে তৃষ্ণা, অপু,বললো গুনগুন না করে একটু গাওনা বেশ লাগবে
তৃষ্ণা গান ধরলো মমচিত্তে নাচেথই থই
ঃকতদিন পর তোমার গান শুনলাম।
মোনালিসা কাল পূর্ণিমা দেখে পরশু ফিরবো আমার কক্সবাজার সমুদ্র দেখে পরদিন সোজা ঢাকায় তোমার মাকে বলেছোতো।
ঃহুমম বলেছি
অপুঃ
আজি নৃত্য জাগিয়েছো বিশ্বে
বয়ে চলে ধীরে নতুনের সুর
তবু কেন আজ অতি কাছে তবু মনে
হয় বহুদুর
কোনটি তেমার আসল রূপ প্রিয়তমা
কষ্টের দিনে নাইবা ডাকিলাম, তবু ভালোবাসা
যায়নি মুছে বেদনার বুক থেকে।
বাহ্ চমৎকার তুমি লিখোনা কেন?
ঃলিখবো শুধু তোমার জন্য, তুমিই আমার কবিতা।
আচ্ছা সময় এলে দেখা যাবে।
একটানা ড্রাইভ করে মাঝপথে গাড়ি পার্কিং করে
দুপুরের লান্ঝ সেরে আবার ছুটলো।
চলবে....
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much