সহধর্মিণীর হুঁশিয়ারী বার্তা ( ২য় পর্ব )
এতদিন পর 'রবীন্দ্র বলয়ের ভীতি' থেকে কিছুটা বেরিয়ে এসে সাহস করে টুকটাক দু'এক চরণ লেখার দুঃসাহসিক প্রচেষ্টা জারী রেখেছি মাত্র! তবে মনের গভীরতম স্হান থেকে একেবারে যে সেই বলয় মুক্ত হ'তে পেরেছি বা 'বলয়ভীতি' এখনও কাজ করছে না সেটা বুকে হাত দিয়ে সাহস ক'রে বলার সাহস কিংবা হলফ করে আস্হার সাথে জোর গলায় এখনও বলার সময় বুঝি আসেনি এ কারণে যে, আবার কখন না 'রবীন্দ্র বলয়ের জালে' অকস্মাৎ নিজের অজান্তেই নিজেই জালবন্দী হ'য়ে পড়ি।
যাহোক, যে কথা বলতে বলতে প্রসঙ্গ থেকে ক্ষণিকের জন্য একটু স'রে গিয়েছিলাম সেখানেই ফেরত আসি। অতঃপর আমার সহধর্মিণী একটু হেসে হেসে বললেন, "শোন! এগুলোর মধ্যে অনেক গুজামিল আছে, এ নাটক, গান কিংবা অনেক লেখাই আজকাল কপি বা ডুপ্লিকেট হচ্ছে"। তখন তাঁর এ যুক্তি খন্ডনের অভিপ্রায়ে আমি তাকে বললাম যে, দেখো পৃথিবীতে বর্তমানে প্রায় সাতশ' কোটি মানুষ আছে এবং তাদের প্রত্যেকের জীবনে কমপক্ষে একটি ক'রে হলেও গল্প আছে।
সুতরাং, কেউ আজীবন লিখতে থাকলেও নিশ্চয়ই সাতশ' কোটি লেখা তার সারাজীবন ধরে লিখলেও তা শেষ ক'রতে পারবেনা। আর তুমিই বলো কোনদিন কি কেউ এই পাহাড় সমান লেখার পরিসমাপ্তি ঘটাতে পারবে, আর বাস্তবে কি সেটা সম্ভব? অতঃপর তিনি নিজেনিজেই অত্যন্ত সুচতুরতার সাথে তাঁর আদি বিষয়বস্তু থেকে যেন অতি বুদ্ধিমত্তার প্রমাণ রেখে অত্যন্ত সংগোপনে একেবারে চুপিসারে ধীরে ধীরে নিজেকে সরিয়ে নিলেন। হয়তবা জ্ঞানী ও যথেষ্ট বুদ্ধিমতী ভদ্র মহিলারা বুঝি এরূপ একই কৌশল অনুসরণ ক'রে থাকেন।
ইদানিং যুক্তিতর্কে হেরে যেয়ে আমার সহধর্মিণী আমাকে আর কিছু বলার সাহস করেন না ঠিকই কিন্তু তিনি যাতে আগামীতে এধরণের কিংবা নতুন একই মানের আর কোন প্রসঙ্গ টেনে তাঁর জীবন সঙ্গীর সম্মুখে না তুলে আনতে পারেন সে বিষয়ে আমি যথেষ্ট সজাগ আছি ও তার রেডিমেট উত্তরও মজুদ ক'রে রেখেছি যেনো ঝটিকা গতিতে তা ছুঁড়ে দিয়ে এই ধরণের যুক্তিকে সাথে সাথে খন্ডন ক'রে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে নিষ্ক্রিয় করতে পারি।
এমন কিছু কিছু ঘটনা মানুষের জীবনে ঘটে থাকে যা কারো সাথে এমনকি নিজের জীবনসঙ্গীর সাথেও আজীবন মানুষ শেয়ার করেনা এবং এধরণের অতীব ব্যক্তিগত বিষয়গুলি বুঝি মানুষ আজীবন নিজেই নিজের অন্তরে বয়ে বেড়ায় এবং অবশেষে তা বুঝি তার চিরসাথী হয়ে মুত্যুর পরে একত্রে পরলোকে গমন করে।
ধারাবাহিক ২য় কিস্তি
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much