ভোগবাদী সমাজ
রুকসানা রহমান
জনজীবনের সমাজ ব্যাবস্হা সূর্য ভস্মে মাথা রেখে
পথচলা।এখন আর এক ফোঁটা কান্নার জল মুছে দিতে
কতশত বছর পার হবে জানিনা। নারীদের নিয়ে এখন
কেবলই মুখরোচক গল্প মিডিয়া খবরের কাগজে
যেন ওৎ পেতে থাকে কোন নারী কি করলো পুরুষ নামক অহংকারী কিছু পুরুষত্বের ষাড়গুলোকে
আড়ালে রেখে।
কোনদিনই কি নির্বিঘ্নে পথ পেরুনো হবেনা নারীদের ?
ভাবতে অবাক লাগে তথাকথিত আধুনিক সমাজ আজও সেই শোষক শাসন থেকে বের হতে পারেনি।
একই শিকড়ের বন্ধনে আসা নারী যেনো মাটির পুতুল।
আদিম পোষাক দেখতে চায় সৃষ্টির শ্রেষ্ঠতম ফুল...!
আজ বারবার মনে পড়ছে কবি হুমায়ুন আজাদের
কবিতার কিছু লাইন.....
আমি জানি সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে।
সাধের সমাজতন্ত্র ও নষ্টদের অধিকারে যাবে
সত্যিই আজ সমাজ নষ্টদের অধিকারের ব্যবস্হায় জীবন খাতার পাতায়,পাতায় সূর্যদাহে পুড়ছে
,ভয়ংকর রাষ্ট আর সমাজ ব্যাবস্হায় কৃষ্ণগহব্বরে বন্দী আজও নারী।
অথচ সমাজ প্রতিবন্ধীদের মত ক্রাচে ভর দিয়ে হাঁটে।
সময়ের নিজস্ব নিয়মে কার কি হচ্ছে মজা লুটছে
কিছু বলার প্রয়োজন বোধ করেনা। ভাবখানা এমন
বাবা, নিজের প্রাণ বাঁচাও।
ঘরের চৌকাঠের ভিতর নারীর ঠিকানা-
তাদের আকাশ চিনে কি লাভ ?
শরীরের মাপ ঠিক রাখা, প্রনম্য আগুনের ভিতর দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করাই নারীর জন্য উপযুক্ত।
দহনে-দাহনে বেঘোরে পোড়াই নারীর ধর্ম
নারীর মৃত্যুর পর নারীর প্রশংসা, পুড়বে মেয়ে, উড়বে
ছাই, তবেই মেয়ের গুণ গাই।
নারী যেন খয়রাতি জীবন দিয়ে যেতে হবে তাকে সর্বস্ব
ত্যাগে।
সমাজের তথাকথিত মানুুষরূপি হায়নারা যেনো কাম
অগ্নিকাণ্ড জন্মের কুণ্ডলির ভিতর শোষক-শাসকের
পৈতিক ক্রাচ চাষাবাদ সময়ের ক্ষূধার্ত খাদকের জন্য
কি নারীর জন্ম ?
মনুষ্য নেকাব পড়ে ওরা জনসম্মুখে ভদ্রতার নেকাব
পড়ে বুক ফুলিয়ে হাঁটে
কেউবা জাতীয় সংগীত শুনতে শুনতে সুযোগ পেলেই
তাদের সাধের ধর্মগ্রন্থ তখন সরিয়ে অণূর্বর জমিতে
উন্মাতাল খেলার মক্ত হয়ে ওঠে রাষ্ট ও সমাজ।
মোমের মতন গলে যাচ্ছে পবিত্র ভালোবাসার আখ্যান।
অপবাদে জড়ানোর ভয়ে দাবিদারহীন; মাটির উপর
দাঁড়িয়ে বাঁচতে চেষ্টা করে আজও নারীরা।
ফুঁফিয়ে ওঠা কালের বেদনার হাহাকারে নারী নামের
ফিসফাস রক্তপাতে এক একটি রক্তজবা।
এভাবেই চোরাকুঠুরীর চাবি বদলের খেলায় অস্হি মাংসের ভিতর চলে ভালোবাসার নামে উপভোগের মানচিত্র।
তবুও কি নারী হাল ছাড়ে, ছাড়বে না বলেই আজও
ইতিহাসের পাতায়-পাতায় খোঁজে নিজেদের অধিকার। খুঁজে চলছে একা সমান্তরাল জীবন প্রশস্তদিন।
তবুও আদি পর্বের ক্ষয়ে যাওয়া সময় ফেরেনা
নতুন কোন অক্ষর কেবলই ছায়া লেগে থাকে পোড়া
চোখে।
তবুও নারীরা বাচেঁ, বাচঁতে হয় সংসার সমাজের রক্তচক্ষু, অপবাদের বোঝা ঘাড়ে নিয়ে ও কেউ কেউ
অক্ষর খুঁজে পায়।
বাচেঁ একা একেবারেই একা একার আকাশের নিচে
দাঁড়িয়ে স্বস্হির নিঃশ্বাসে।
আজ প্রশ্ন দাঁড়িয়েছে নারী স্বাধীনতা এখনো আর কতদুর, নারী স্বাধীনতা মানে ভোগপণ্য নয় এটি
সামাজিক অবস্হান যার মৌলিক স্বীকৃতি সমাজে
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকের নারী ঘরের সঙ্গে, সঙ্গেই
অনেক বেশি বাইরেরও।কাজের প্রয়োজনেই বাধ্য করছে তাকে যে পোষাকে নারী স্বচ্ছন্দ সেটাই অগ্রাধিকার দিতে।
কাজেই পশুদের হাত থেকে রক্ষা পায়না,এখানেই
গভীর সত্য লুকিয়ে আছে,তা হলো পশুদের হাত থেকে
নিস্তার পাওয়া বা না পাওয়া নারীর পোষাক দ্বারা
নির্ধারিত হয় না।নির্ধারণ করে সমাজের মনোভাব
নারীর প্রতি সন্মান শ্রদ্বাশীল না হওয়া পর্ষন্ত একশ্রেণী পশু সুলভ মানুষ নারীকে পণ্য হিসেবে ব্যবহার করবে,
সেই সমাজ বা রাষ্টের কখনো মাথা উচু করে দাঁড়াতে
পারবেনা এবং উন্নতি ও হবেনা।
নারী ধর্ষণের মতন নির্যাতন থাকলে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much