মৃত্তিকার মায়ায়
মৃত্তিকার মায়ায় বসে আছি পরিত্যক্ত ঘরে
পরজীবিরা বেঁচে আছে বৃক্ষকে আঁকড়ে ধরে।
আকাশ চেয়ে আছে দিগন্তের পানে,
যেখানে সূর্যের আলো আসে জানালার ফাঁকে।
চাঁদের আলো এসে পড়ে চিলেকোঠায়।
ধূলি উড়া দীর্ঘ পথবাঁকে ঘাসেরা চিরসবুজ।
অজস্র প্রশ্ন কড়া নাড়ে মনের দরজায়।
মেঘের আজ ভীষণ মন খারাপ
আখর পরে আখর সাজিয়ে লিখেছি কাব্য।
পূর্বসূরিরা ছিল কোন একদিন এখানেই।
নিজের অস্তিত্ব নিয়ে ভাবনারা এলোমেলো।
জীবনের পৃষ্ঠাগুলো উল্টেপাল্টে দেখি,
কতো রং বদল,পালাবদল চারপাশে।
রংধনুর রং যেন এসে পড়ে জীবন ধারায়।
কালের বিবর্তনে মিলিয়ে গেছে অনেক কিছু।
ভাঙ্গা গড়ার চিরবৈরীতা নিত্য অবনী মাঝে,
স্রোতস্বিনী নদীবক্ষে জেগেছে বালুচর।
জীবনের আনন্দ,বেদনা সেতো;
ঘাসের ডগায় একবিন্দু শিশির কণা।
বুঝা যায় তা অতীতে দৃষ্টি দিলে।
মানব জীবনের সময়ের পরিক্রমায়,
মূহুর্তগুলো বয়ে চলে নিরবে নিভৃতে।
তমাল বন নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে কালের সাক্ষী হয়ে।
একলা আকাশেই বুঁদ হয়ে থাকি নিরালা,
প্রানের ডাহুক পড়ে রয় অরন্যে।
হেঁটে চলেছি নিরন্তর অজানার পথে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much