০৬ ডিসেম্বর ২০২০

লীনা দাস


ফেসবুকে কেন লিখি আমরা?


এই প্রশ্নটা আজকাল খুব মনে আসে।

সত্যিই তো কেন লিখি?

 প্রায় পাঁচ বছর ধরে ফেসবুকে লিখে চলেছি। 

কবিতা, গল্প বা সমাজ সচেতনতার পোস্ট।

পাঠকের সংখ্যা খুব বেশী না। ওঠানামা করে।

 সব লেখা সবাই পড়েন ও না। 

তবু লিখি। মন খারাপ হলে লিখি,মন ভাল থাকলে লেখার ইচ্ছে অন্তত আমার বেশী জাগে। লাইক পেতে ভাল লাগে। অসাধারণ, সুন্দর,দারুণ,অনন্য,ফাটাফাটি  মন্তব্যগুলি ও মন্দ  লাগে না। যদিও বুঝতে পারি  মন্তব্যগুলি না পড়েই করেন অনেকে।সবাই না,অনেকে সুচিন্তিত মতামত দ‍্যান।তাতে এই আপাত উদ্দেশ্যহীন লেখালেখির কিছুটা সার্থকতা খুঁজে পাই।ভাল লাগে মন।

এই ফেসবুক আমাদের মত কিছু শখের লেখিকা লেখকদের জন্য অনেকগুলি দরজা খুলে দিয়েছে। কেউ কবিতা লেখেন, কেউ গল্প বা প্রবন্ধ লেখেন।

আরও অনেকে অনেক কিছু করে। 

আমার মনে হয় ফেসবুকে লেখালেখি মূলস্রোত সাহিত্যের চেয়ে অনেকটাই আলাদা।


কিন্তু সেই প্রশ্ন ,কেন লিখি ?

আমার মনে হয় আমাদের মত লেখকের সবচেয়ে বড় সমস্যা  কেন  লিখি তার উত্তর পাওয়া।

কাজের ফাঁকে, রান্নার ফাঁকে দৈনন্দিন জীবনযাত্রার ফাঁকে যে লিখি কিন্তু কেন? পাঠক সংখ্যা হাতে গোনা।

তাও শুধু ফেসবুকে । ফেসবুকের বাইরে পৌঁছোনো খুব শক্ত । তাহলে কেন লিখি? এর উত্তর জানা আর হবেনা।

আমার মনে হয় লেখা একটা নেশা।অন্তত আমার তাই মনে হয়। আমার নিজের লেখার উদ্দেশ্য কী জানিনা,নেশার ঘোরে লিখে যায়।  লেখারএকটা কারণ হতে পারে যে মানুষের সঙ্গে হৃদয়ের একটা সংযোগ তৈরী হয় । অঙ্কনশিল্প এবং সাহিত্যের এক সুবিধা হল  আজ যা সাহিত্য নয় কাল তা সাহিত্য হিসেবে গণ্য হতে পারে । তবে লেখার শৈলী অধ্যবসায় থেকেই আসে ।  ফেসবুকের যুগে কিছুই ফেলা যায় না । দেয়ালের কোণে জড়ো হতে থাকে । যদি কোনদিন জড়ো করা স্তূপে কাগজের ফুল খুঁজে পায় কেউ।


নিজের জীবনের কাহিনী শুনতে কেউ চাই না।

তাই কাউকে  গল্প বলার চেষ্টা না করে স্মৃতি হাতড়ে যা মনে পড়ে লিখে যাই ফেসবুকে । সবটুকু মনগড়া  নয়। জীবনে ঘটে যাওয়া নানান ঘটনার থেকে নেওয়া টুকরো টুকরো ঘটনা।

অনেকেই হয়ত এমন।

সব কিছু লেখা যায় না,আমি ও লিখিনা যা আমার একান্ত আমার।

লিখি মধুময় সময়ের কথা, সুখস্মৃতি, নীল বেদনার কথা ও এসে যায়! 


লেখালেখি আমার নিজস্ব ভাল লাগার জগৎ।

ভাল লাগা থাকলে লিখে যেতে পারি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

thank you so much