০৮ এপ্রিল ২০২২

মমতা রায় চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৪৭




উপন্যাস 

টানাপড়েন ১৪৭
সোনাইয়ের হার
মমতা রায় চৌধুরী



ক্লান্ত অবসন্ন দেহে রেখা বাড়ি ফিরে একটা কথাও বলতে পারে নি মনোজের সাথে। আজ যেভাবে বস্তির হাহাকার দেখেছে সেটা ভুলবার নয়।
দু 'চোখ তখন চলে ভেজা। কলিং বেল বাজানোর সঙ্গে সঙ্গে মনোজ দরজাটা খুলে দিয়ে বলে"কি ব্যাপার এত রাত হল কেন?"
রেখা কোন কথা না বলে ব্যাগটা নামিয়ে রেখে সোজা চলে যায় ওয়াশরুমে।মনোজ ও 
কেমন ঘাবড়ে যায়।রেখার চোখ মুখ দেখে চমকে ওঠে। বড় রকমের কিছু একটা ঘটনা ঘটে গেছে। কালবৈশাখী ঝড় আসার আগের মুহূর্তে যেমন নিস্তব্ধ একটা রুদ্ধশ্বাস মুহূর্ত থাকে, চলে যাবার পর বিধ্বস্ত করে দিয়ে যায়। রেখাকে দেখে ঠিক সে রকম মনে হলো মনোজের।
ওয়াশরুম থেকে বেরোনোর আগে মনোজ  বেশ সুন্দর করে  ব্ল্যাক কফি বানিয়ে ফেলে। রেখা বেরোনোর সঙ্গে সঙ্গে কফির কাপটা এগিয়ে দেয় 
রেখা ম্লান হেসে বলে 'এটাতে একটু এনার্জি পাব।'থ্যাঙ্ক ইউ।
মনোজ বলে  'মোস্ট ওয়েলকামi
রেখা ড্রয়িং রুমের সোফাটায় গা টা এলিয়ে দিয়ে বসে কফিতে চুমুক লাগায়।
মনোজ বলে,' স্কুলের এতো দায়িত্ব তুমি নিতে যাও কেন ?শরীর যখন পারমিট করে না।'
রেখা এখনো জোর করে হাসে। সবাই যদি বলি দায়িত্ব নেব না ,তাহলে কি করে  চলবে বলো?'
"হ্যাঁ হ্যাঁ পৃথিবীর সব দায়িত্ব যেন তোমাকেই নিতে হবে।"
"আমি কি পৃথিবীর সব দায়িত্ব নিতে 
পারি ?আমার কি সেই ক্ষমতা ঈশ্বর দিয়েছেন বলো? যেটুকু দিয়েছেন সেটুকুই করার চেষ্টা করি।'
"আরে তোমার শরীর তো পারমিট করছে না সেজন্যই বলা।'
"Ok
তোমার যেটা ভালো লাগে তুমি সেটাই কর। আমি কিছু বলতে যাব না।"
"তোমাকে একবার ফোন করেছিলাম ফোনটা ধরলে না?"
"আরে ধরবো কি এদিকে তো একটা বিশাল কান্ড হয়ে গেছে। আমরা তো সব ওই নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম।"
রেখা তো অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করে" কি হয়েছিল?"
"আর বোলো না ।সোনাই,সোনাইএর গলার হার চুরি হয়ে গেছিল।"
"সোনাই বলতে আমাদের পার্থর দাদার
 ছেলে? মানে পার্থর ভাইপো?"
"হ্যাঁ গো হ্যাঁ।"
" কি করে,?"
'কি করে আবার। ও তো ছোট কিন্তু কি পাকা পাকা  কথা বলে শুনেছো তো?
স্কুলে যেরকম রোজ দিয়ে আসা হয় ঠিক সেভাবেই দিয়ে আসা হয়েছে।
সোনাই যথারীতি স্কুলে গেছে , খেলেছে, স্বাভাবিক নিয়মে যা যা করা উচিত সবকিছু করেছে। বাড়িতে ফিরে আসার পর সোনাইয়ের মা মানে মধুজা। সোনার হারটা গলায় দেখতে পাচ্ছে না স্কুল ড্রেসটা ছাড়াতে গেছে তখনই। একেবারে হূলস্থূল  কান্ড বাঁধিয়ে  ফেলেছে।এবার মধুজা যতবার জিজ্ঞেস করছে সোনাইকে "বাবা তোমার গলার হার টা কি হলো?"
ততবার উল্টোপাল্টা জবাব দিচ্ছে। কখনো বলছে রান্নার পিসি দিদা নিয়েছে।'
মধুজা যখন বলছে ঠিক করে মনে করার চেষ্টা করো সোনাই। তখন মাথা চুলকে বলেছে
"না ,না ছোট দিদা।'
মধুজা তখন ধমক দিয়ে বলেছে কি বলছ
 সব ।ঠিক করে মনে করো।
ওদিকে মধুজার তখন ভেতরে ভেতরে পাল পিটিশন শুরু হয়ে গেছে।
সোনাই বলছে' আমি জানিনা ।আমি কিছু জানি না।
মধুজা  দেখল এভাবে তো হবেনা ভীষণ চিন্তায় পড়ে গেল কারণ মধুজার মা ওই সোনার হার নাতিকে অন্নপ্রাশনে দিয়েছিল। তার সাথে অনেক আবেগ জড়িয়ে আছে। ভালোবাসা, আশীর্বাদ আছে।
মধু যার মা যখন ব্যাপারটা শুনতে পেরেছে তখন থেকেই ফোনের ফোনের পর ফোন করে যাচ্ছে মধুজাকে আর কান্না করছে ভ্যা ভ্যা করে।
বিরক্ত হয়ে মধুজা এক সময় বলেও দিয়েছে
ওর মাকে"তুমি কি কান্না করার জন্য ফোনটা করেছ মা?"
"আমি কত শখ করে নাতি টাকে দিলাম বল?"
ওদিক থেকে মধুজার বাবা বলেছে তুমি ফোনটা আমাকে দাও তো সারাক্ষণ ফোনে কেটে যাচ্ছে মেয়েটার মনের অবস্থাটা বুঝতে পারছ?
আরে মা যা গেছে তা গেছে ওই নিয়ে মন খারাপ করিস না ধরে নে ওটা তোদের ভাগ্যে নেই।?
মধুজা বলেছে" হ্যাঁ বাবা তাছাড়া আবার কি কিন্তু ভেতরে ভেতরে তো কষ্ট পাচ্ছি সেটা প্রকাশ
না।'
তুমি একটু মাকে সামলাও।"
এদিক থেকে মধুজার ঠাকুরমা শাশুড়ি কান্না করে ভাসাচ্ছে। তোমরাই তো আমাকে দোষ দেবে বলো, নাত বৌ'।
"কেন আপনাকে দোষ দেবো কেন আপনি আবার কান্নার পড়তে বসে গেলেন কেন?'
"না আজকে তো সোনাইকে আমি নিয়ে গিয়েছিলাম।"
"আরে বাবা, ওটা তো আমি নিয়ে গেলেও হতে পারতো?"
মধুজা এভাবে সান্ত্বনা দিয়ে যাচ্ছে।
ওদিকে পার্থর ঠাকুমা যা সাত-সেপান্ত শুরু করে দিয়েছে তা বলার অপেক্ষা নেই।।
"আমাদের  নাতির ছেলেটার সোনার হার চুরি করেছিস? তোদের তেরাত্রি পোহাবে না বলে দিলাম।"
জানো রেখা, বাড়িতে আমরা গিয়ে তো মানে বিচিত্র সব পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছি।
তারপর মধুজা একটা বুদ্ধি খাটিয়েছে
 সোনাইকে ভালবেসে কাছে টেনে কোলে বসিয়ে আদর করতে করতে জিজ্ঞেস করেছে তোমার স্কুলে কেউ তোমার এই হারটা দেখছিল?
তখন সোনাই বলছে" হ্যাঁ মাম মাম'। ওই যে টিকুর মা , জেম মা আমার গলা থেকে টান দিয়ে নিয়ে গেল। কথাটা শুনে তো মধুজার মাথা ভো ,ভো করে ঘুরতে লাগলো। তখনো সোনাই দুই হাত তুলে জামার ভেতর থেকে কিভাবে টান মেরে নিয়েছে সেসব দেখাতে লাগল মাকে।
কিন্তু টিকুর মা ও রকম কাজ করবে এটা কল্পনাতে ও আসে নি।
মধুজা সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির সবাইকে কথাটা জানায়। আর জানানোর সঙ্গে সঙ্গেই মধুজার স্বামী দেওর অর্থাৎ পার্থ এবং আমরা সকলেই টিকুদের বাড়িতে যায়। সেখানে গিয়ে টিকুর মাকে জিজ্ঞাসা করে স্কুলে এমন কোন ঘটনা ঘটেছে কিনা?
টিকুর মা তাতে যে উত্তর দিয়েছিল তাতে অনেক অসংলগ্নতা ধরা পড়েছিল।
টিকুর মা বলেছিল সোনাইয়ের গলায় তো কোন হার ছিল না।'
কথায় বলে না চুরি করলে চোর কিছু না কিছু  ক্লু রেখে যায় ।এ যেন সেরকমই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।
কিন্তু টিপুদের বাড়িতে লোকজন আসতে দেখে টি কোন মায়ের ভেতরেও একটা পালপিটেশন শুরু হয়ে গেছিল বুকের ভেতরটা ধরাস করে উঠেছিল।
তবুও সে মনের জোরে বলে গেছে "সে এসবের কিছুই জানে না।"
তার অবস্থাটা হয়েছিল এরকমই ভাঙবে তবু মচকাবে না।
তারপর পার্থরা যখন সকলে থানা পুলিশের ভয় দেখায় তাতেও কোন কার্যকরী হয় না।
তারপর আমরা সকলে বাড়ি ফিরে আসি ইতিমধ্যে খবর হয় যে টিকুর মাকে নাকি ঐদিন
স্কুল থেকে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে কাঁচরাপারা গেছে।'
স্পাই তো লাগানোই ছিল। তারাও তোকে ছিল কোথায় যায় দেখবে বলে।
স্কুটি করে এদিক ওদিক ঘুরতে দেখা গেছে।
এমনকি ওই দিন স্টেট ব্যাঙ্কেও গেছে ।
 প্রসঙ্গক্রমে ব্যাংকে উপস্থিত ছিল মধুজাদের রাধুনী পিসি।
রাধুনী পিসির বক্তব্য অনুযায়ী ব্যাংকে গিয়ে খুব তাড়াহুড়ো করছিল এবং লাইনে দাঁড়ানো দুই একজনকে অনুরোধ করেছে ,তাকে ছেড়ে দেবার জন্য। যথারীতি ছেড়েও দেয়া হয়েছে ।ছেড়ে দেওয়ার পর সে তখন ব্যাংকের আধিকারিকদের বলেছে "তার একটু কাজ আছে তো, এই জন্য একটু তাড়াতাড়ি করছে ,সেখানে যেতেই হবে।"
ব্যাংকের আধিকারিক দের মধ্যে একজন বলছেন "আপনার তো কমাস একাউন্টে টাকাই ফেলা হয়নি ।৪০ টাকা ব্যালেন্স পড়ে রয়েছে।"
তখন টিকুর মা হেসে বলেছে "এইতো এখন একসঙ্গে অনেকগুলো টাকা জমা করব।
কুড়ি থেকে বাইশ হাজার টাকা সে জমা করেছে।
এবার সকলের সন্দেহ আরো দানা বাঁধতে শুরু করেছে।
রেখা অবাক হয়ে বলে' টিকুর মা ওদের কিসের অভাব?"
রেখা যেন গাছ থেকে পড়ল ,হাত পা ভেঙ্গেচুরে গেল। "জাস্ট আমি নিতে পারছি না।"
মানুষগুলোকে যেন তাদের চরিত্রের সঙ্গেমেলাতে পারছি না ।সব কেমন অচেনা মনে হচ্ছে।কুয়াশার চাদর জড়িয়ে রেখেছে যেন একটা মুখোশ পরে আছে।"
মনোজ বলে "সেটাই তো?
শোনো তারপরে কি হয়েছে?"
অবাক চোখে বলে" এর পরেও আরও কিছু ঘটেছে?"
মনোজ বলে 'কাহিনী আভি বাকি হ্যায়?'
রেখা উৎসব দৃষ্টি নিয়ে বলে "বলো, বলো।"
এদিকে তো মোটামুটি আমরা সবাই ঘটনাটা জেনে গেছি ।তখন পার্থর দাদা সঞ্জীব ওতো পঞ্চায়েত অফিসে কাজ করেছে । এই সূত্রে মোটামুটি পুলিশ আধিকারিক থেকে শুরু করে আশেপাশের দোকানগুলোর সকলের সঙ্গে পরিচিত আছে।
আমরা তো সবাই তককে তককে ছিলাম যে "সোনার দোকানগুলোতে খোঁজ নিতে হবে।
আর চোর কিছু ভুল স্টেপ নেবেই "এবং দেখা গেছে স্টেট ব্যাঙ্কে আসার আগে ও সোনার দোকানে গেছে। যখন সোনার দোকানে গিয়ে ভেরিফাই করেছে সঞ্জীব। তাতে দেখা গেছে হুবহু মিলে গেছে।
প্রথমদিকে তো সোনার দোকানদার স্বীকার করতে চায়নি ।পরে যখন পুলিশের ভয় দেখিয়েছে যে একটা ইনভেস্টিগেশনে আসবে তখন দোকানদার বলেছে হ্যাঁ একজন ভদ্রমহিলা দোকানে একটা হার  দিয়ে গেছে।
সঙ্গে সঙ্গে সঞ্জীব উৎসব দৃষ্টি নিয়ে বলেছে" আচ্ছা দেখান তাহলে হারটা কিরকম দেখি।"
দোকানদার ভেতরের কর্মচারীকে যখন হারটা নিয়ে আসতে বলেছে, সেই হার দেখে তো সঞ্জীবের। চরক গাছ ।সঞ্জীব সঙ্গে সঙ্গে পার্থ আর আমাকে ফোন করেছে। আমরা ও সেখানে চলে যাই।
তখন দোকানদার বলেছে "তার কোন দোষ 
নেই। "তাদের তো কাজই কেনা বেচা। পেয়েছে কিনে নিয়েছে। কি করে জানব বলুন এটা চোরাই মাল।"আপনার তাকে!কোন অসুবিধা 
নেই ।আপনি চিনতে পারবেন সেই মহিলাকে ,যিনি বিক্রি করেছেন ?
বলছে "হ্যাঁ কেন পারব না।"
ইতিমধ্যেই পার্থ আর আমি চলে যাই দোকানে এবং আমরা গিয়ে সেই মহিলার বর্ণনা শুনি
বর্ণনা অনুযায়ী যা বলেছে তাতে হুবহু টিকুর মা।
বেশ ছিপ  ছিপে লম্বা শ্যামলা বরণ এক ফিট চুল নাকটা তো টিকালো, চোখগুলো ছোট।
সঞ্জীব তো আনন্দ উল্লাসে চিৎকার করে বলেছে একদম ঠিক ঠিক বলেছেন আপনি।"
তখন পার্থ বলেছে, আপনি এই হার কাউকে বিক্রি করবেন না আমরা টাকা দিয়ে আপনার কাছ থেকেই হার নিয়ে নেব।
সঙ্গে সঙ্গে সঞ্জীব পার্থ আর আমাকে বলল'টিকুদের বাড়ি যেতে এবং সেখানে গিয়ে পুলিশ নিয়ে গিয়ে ভয় দেখানোর কথা বলতে।
সঞ্জীব টাকা মিটিয়ে হারটা নেবে বলে আশ্বাস দিয়ে আসে দোকানদারকে।।
রেখা বলছে বলছো কি? এত কিছু কান্ড?"
মনোজ বলছে তাহলে আর বলছি কি?
রেখা বললো 'তারপর ।তারপর',।
তারপর পার্থ আর আমি যখন টিপুদের বাড়ি যাই টিপুর মাকে গিয়ে ভালোভাবে বলাতেও সে কিন্তু স্বীকার করতে চাইলো না। তখন যখন পার্থ বলল ঠিক আছে আমরা পুলিশে গিয়ে রিপোর্ট করি। পুলিশ এসে তদন্ত করুক আর আমরাও সোনার দোকানগুলোতে খোঁজ লাগাচ্ছি।
পুলিশের কথা শুনতেই যে কোন মা বলে হ্যাঁ সে নিয়েছে আসলে তার একটু টাকার দরকার হয়ে পড়েছিল।
গ**** বাড়ির লোকজন কথাটা শুনে তো একেবারে থ।
চিকুর বাবা তো পারলে এই মারে তো সেই মারে।
শাশুড়িরা বলতে শুরু করে এই বউ সংসারের মান সম্মান সব ডুবিয়ে দিল, চোখে কালি লাগিয়ে দিল।।"
তখন পার্থ বলল 'ঠিক আছে আমরা পুলিশে রিপোর্ট করব না আমাদের টাকা দিন।
মা বলে ঠিক আছে একটু ওয়েট করুন ব্যাংক থেকে টাকা তুলে আপনাদের দিয়ে দিচ্ছি।
পার্থ আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বুঝতে চেষ্টা করল।
বললাম ঠিক আছে।
পার্থ তখন বলল ঠিক আছে আপনি টাকার ব্যবস্থা করুন।।
কি করে মা বলল আমাকে আধঘন্টা সময় দিন।
আমি তখন ঘাড় নাম পার্থর দিকে পার্থ ইশারায় বুঝতে পেরে বলে ঠিক আছে আপনি যান টাকা তুলে নিয়ে আসুন।।
যথারীতি ব্যাংকে গিয়ে আবার টাকা তুলে পার্থর হাতে দিলো।
পার্থ আর আমি সঙ্গে সঙ্গে টাকা নিয়ে সেই সোনার দোকানে পৌঁছে যাই,।
সঞ্জীবের হাতে টাকাগুলো দেয়া হলো ।সঞ্জীব সোনার দোকানে টাকাটা পেইড করল।
তারপর হার নিয়ে সোজা বাড়ি।
এসব করতে করতেই তো পাঁচটা বেজে গেল।
সোনার দোকানদার বলল "আমাদের যেন পুলিশে ধরিয়ে দেবেন না প্লিজ।"
সঞ্জীব বলল "ক্ষেপেছেন নাকি?'
দোকানদার বলল জানেন আরও কি ঘটেছ?"
 এই আপনারা আসার আধঘন্টা আগে।
পার্থ বলল কি.।
দোকানদার বলল ওই মহিলা এসে বলল তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন আসতে পারে তাদেরকে না জানিয়েআংটিটি বিক্রি করেছে।"
মনোজ বলল "বাড়ির লোকে এসবের বিন্দু বিসর্গ জানে না।"
 তারপরে এসব কাজ-টাজ মিটে  যাওয়ার পর? বাড়িতে এসে হারটা 
মধুজার হাতে দেয়।
মধুজা হার পেয়ে ভীষণ খুশি এবং আনন্দে তার কানের লোমগুলো পর্যন্ত দাঁড়িয়ে গেছে।।
সোনাই হারটা দেখতে পেয়ে ছুটে এসে বলেছে' এইতো এটা আমার হার।"
রেখা বলে "বলো কি? টিকুদের কি অভাব আছে বল? 
স্বভাব দোষে এইসব কাজ করা। ওই পরিবারের মান সম্মান বলে আর কিছু থাকলো না।
মানুষ গুলো কেমন বিচিত্র হয়ে যাচ্ছে কারো নিত্য অভাব ,জ্বলছে পেটে আগুন কারোর স্বভাবে জ্বলছে আগুন।
রেখা বলল "তবে এরপর কিন্তু স্কুলটার বদনাম হবে, স্কুল এর  হেড মিস্ট্রেস যদি সঠিক পদক্ষেপ না নেন ,তাহলে ছাত্রীর সংখ্যা কমতে শুরু করবে। কেননা চোরাই স্কুলে জিনিসের সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চাদের প্রাণের রিক্সটা নিতে পারবে না। "
"হ্যাঁ, স্কুল থেকেও বলে দিয়েছে।এক রকম ওয়ার্নিং দিয়েছে ভবিষ্যতে এরকম যেন না হয়।
এবং গার্জেন মিটিংও করবে এরকমও জানিয়ে দিয়েছে। সেখানেই হয়তো ডিসিশান নেবে।"
তবে হারটা পেয়ে সোনাই খুব খুশি হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

thank you so much