১৮ ডিসেম্বর ২০২০

মমতা রায় চৌধুরী




মা তোমায় বড্ড মনে পড়ছে


মা তোমায় আজ বড্ড মনে পড়ছে।

ভাবছি পাখির মতো উড়ে যাব স্নেহের  স্পর্শ পেতে।

বেশ তো ছিলাম তোমার স্নেহের নীড়খানিতে,

 ঘটা করে বিয়ে দিয়ে পুরলে খাঁচাটিতে।

 ভেবেছিলে বড়লোক বাড়ির বউ হয়েছে,

এমন সৌভাগ্য কজনার আছে?

 কিন্তু মাগো বড় বাড়িতে বড় যন্ত্রণা,

 বিনি পয়সার ঝি খাটছি সর্বদা।

যন্ত্রণার মন বালুচরের ঢেউগুলো,

আছড়ে পড়ে হৃদয়বীণায়।

এই তো সেদিন ভাতের ফ্যান ঝরাতে

গিয়ে হাতটাই গেল পুড়ে।

কেউ তো তোমার মতো আসলো না ছুটে?

বলল ও   না ,তোমার কি হয়েছে?

বলল শুধু, রান্না‌ হতে কেন দেরি হচ্ছে?

পোড়া যন্ত্রণায় ছটফটাচ্ছি স্নেহ স্পর্শ পেতে। 

সারাটা রাত্রি কেটেছে আজ অনিদ্রাতে,

 ছাড়তে হচ্ছে বিছানা অতি প্রত্যুষে।

 তোমাকে তাই বড্ড মনে পড়ছে।

সকালে বিছানা না ছাড়ার কারণে,

পাড়া-প্রতিবেশী আত্মীয় স্বজনে,

হাজারো কথা শুনিয়েছে তোমাকে।

মিষ্টি হেসে শুধু বলতে-' উঠবে সময় হলে'

আজ কে উঠবে আমার  ঢাল হয়ে?

জানো মা , গতরাতে জ্বরেতে গা যাচ্ছিল  পুড়ে,

সেই ঘোরেতে ভুল বকেছি সারাটা রাত ধরে।

তাতেও বকুনি জুটেছে শতগুণ কপালে।

তোমাদের জামাই এসব তোয়াক্কা  না করে,

 সবার কথা ভেবে চলে শুধুই দিনে রাতে।

ভেবে পাইনা আমার মূল্য কতটা তার কাছে?

যন্ত্রণাদগ্ধ হৃদয়ে বড্ড মনে পড়ছে।

সর্বদা মন খারাপে, যন্ত্রনার ব্যথা উপশমে,

 এখন কোথায় পাবো তোমাকে?

মন বালুচরে তাই মিছেই  মরি খুঁজে।

আমার একলা মনের আকাশ জুড়ে  

শুধু তুমি , তুমি ই আছো যে নক্ষত্র রাজি হয়ে।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

thank you so much