১৮ ডিসেম্বর ২০২০

কাকলী দাস ঘোষ মুক্তগদ্য

 


উপলব্ধি 


অনন্ত বিশ্বের পথে তুমি হাঁটতে চাও। দুপাশে কত গাছ-নদী-মাটি-কত রাস্তা-মন্দির-মসজিদ-গির্জা কত কী। তুমি এগিয়ে যাচ্ছ আবার পিছিয়ে আসছ। মাথার ঊপর নীল আকাশ। কত পাখী উড়ছে সেখানে। তুমি কিছু চাও-কিছু একটা। কিন্তু কী সেটা? অর্থ-সম্পদ-ভালবাসা-স্নেহ-মায়া-মমতা-প্রতিপত্তি-নাম-যশ। তুমি ভাবছ হয়তোবা এই সবকিছুই তুমি খুঁজছ। তাই তো এগোতে চাও। কিন্তু হঠাৎ শুনলে তোমার খুব আপন কেউ তোমাকে পিছু ডাকছে। হয়তো বা তোমার মা-বাবা-ভাই-বোন কিম্বা তোমার স্বামী অথবা স্ত্রী কিম্বা সন্তান। না-সে বা তারা তোমার স্বপ্নের পথে বাধা হতে চায়না-তবুও ডাকছে-হয়তো কেউ অসুস্থ কিম্বা তোমাকে বড় প্রয়োজন। তুমি কেঁপে উঠলে। তুমি পিছিয়ে এলে। তুমি তো সব চাও। কিন্তু এগিয়ে যাওয়ার পথেও এত শূণ্যতা কেন-এত দীর্ঘশ্বাস কেন? 


এর উত্তর কী ? আসলে ব্যথা যে সব হৃদয়ে। সব ভুলে অনেকদূর এগোনোর পরে একটা শ্বশান-একটা গোরস্থান-একটা চার্চের পাশে নিস্তব্ধ সমাধিস্থল। তোমার মনে পড়ে গেল-কতদূর যেতে পার তুমি? কতটুকু ক্ষমতা তোমার??? তোমার পায়ে মাড়ানো পিঁপড়ে আর তোমার মধ্যে কতটুকুই বা তফাত! ! ! 


এবার আরও বড় শূণ্যতা। এবার চাই-চাই চারপাশে মানুষ চাই-আরও আরও কাছের মানুষ। চাইছ সবাই তোমাকে ভীষণ ভালবাসুক-সবাই তোমাকে ঘিরে থাকূক। আলো চাও অনেক আলো। কিন্তু পেলে কী ? 


হৃদয়ে হাত রেখে দেখ-মনে হচ্ছে না-কই কোথাও তো কেউ নেই। আসলে তুমি ভীষণ ভীষণ একা হয়ে এগিয়ে চলেছ সেদিকে যেদিকে তোমার একান্ত নিজস্ব নিঃশ্বাসও হয়তো তোমার সঙ্গে ছলনা করবেই॥  



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

thank you so much